Pages

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের তাৎপর্য

Friday, August 29, 2014




    নামায একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহপাক তার প্রিয় হাবীবকে আরশে আযীমে দাওয়াত করে হাদিয়া স্বরূপ দিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নুবুয়াত লাভ করার পর সর্ব প্রথম নামাযের বিধান নাযিল হয়। হাশরের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব চাওয়া হবে। নামায হল সমস্ত সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন সমস্যায় পড়লে নামাযে দাড়িয়ে যেতেন। অনুরূপ সাহাবায়ে কেরামকে রা. ও নামাযে দাঁড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন। কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুরুত্ব সহকারে সময় মত আদায় করে আল্লাহপাক তাকে নিজ জিম্মায় বেহেশতে প্রবেশ করাবেন। 


পাঁচ ওয়াক্ত নামায নির্ধারিত হলো যেভাবে-

  ফজরঃ হযরত আদম আলাইহিস সালাম বেহেশতে থেকে বের হওয়ার পর দীর্ঘদিন আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করেন। অবশেষে ফজরের সময় আল্লাহপাক তাঁর দোআ কবুল করেন। এর শুকরিয়া স্বরূপ সর্বপ্রথম আদম আলাইহিস সালাম দুই রাকআত নামায পড়েন। 
যোহরঃ হযরত ইব্রাহীম আলইহিস সালাম পর্যায়ক্রমে তারকা, চন্দ্র ও সূর্য দেখার পর যখন বুঝলেন যে, এগুলো প্রকৃত রবের পরিচয় বহনকারী। এ অনুধাবন করতে পেরে যোহরের সময় শুকরিয়া স্বরূপ চার রাকআত নামায আদায় করেন।
আছরঃ হযরত নূহ আলইহিস সালাম যাকে দ্বিতীয় আদম বলা হয় তাঁর সম্প্রদায়কে খোদাদ্রোহীতার কারণে মহাপ্লাবন দিয়ে ধ্বংস করা হয়। চল্লিশ দিন পর পানি শুকিয়ে গেলে আসরের সময় শুকরিয়া স্বরূপ হযরত নূহ আলাইহিস সালাম চার রাকআত নামায আদায় করেন।
মাগরিবঃ হযরত দাউদ আলাইহিস্সালাম এর দোআ আল্লাহ তাআলা মাগরিবের পূর্বে কবুল করেন। তাই শুকরিয়া আদায় করে তিনি নামায আরম্ভ করলেন। তিন রাকআত পড়ার পর কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান। তার পর আর পড়তে পারেন নি। ফলে মাগরিব তিন রাকআত থেকে যায়।
এশাঃ এই নামায সর্বপ্রথম আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদায় করেছেন। অন্য কোন নবী ইতি পূর্বে এশার নামায আদায় করেননি। 
    
         নামায দুই তিন চার রাকআত হওয়ার হেকমত হলো আল্লাহপাক মানুষকে পঞ্চইন্দ্রিয় দান করেছেন। যেমন ত্বক, নাক, জিহ্বা, চোখ ও কান। এই পঞ্চইন্দ্রিয়ের শুকরিয়া আদায়ের পন্থা স্বরূপ দুই, তিন, চার রাকআত নামায ফরয করা হয়েছে। ত্বক বা চামড়ার মাধ্যমে গরম ও ঠা-া এই দু’টি জিনিস অনুভব করতে পারি। তাই এর শুকরিয়া স্বরূপ ফজরের নামায দুই রাকআত ফরয করা হয়েছে। নাসিকা ঃ মানুষকে চার দিক থেকে সাহায্য করে চার দিকের সুগন্ধি বা দুর্গন্ধ অনুভব করা যায়। এর শুকরিয়া হিসাবে যোহরের নামায চার রাকআত ফরয করা হয়েছে। জিহ্বার আস্বাদন শক্তির মাধ্যমে আমরা যে কোন খাদ্যের মিষ্টতা, তিক্ততা টক বা লোনা এই চার জিনিস বুঝতে পারি। তাই এর শুকরিয়া স্বরূপ আসরের নামায চার রাকআত ফরয করা হয়েছে। দৃষ্টি শক্তি দ্বারা আমরা ডানে বামে সামনে তিন দিকে দেখতে পাই। তাই এর শুকরিয়া আদায়ে মাগরিব তিন রাকআত ফরয করা হয়েছে। কান বা শ্রবন শক্তির মাধ্যমে আমরা ডানে বামে সামনে পিছনের সর্ব দিকের আওয়াজ শ্রবণ করে থাকি। এর শুকরিয়া স্বরূপ এশার নামায চার রাকআত ফরয করা হয়েচে।
    পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের রাকআত সংখ্যা হলো মোট সতের রাকআত। এর সতের রাকআত হওয়ার হেকমত হলো মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মে’রাজের রজনীতে সর্বমোট সতেরটি স্থান ভ্রমন করান। আর উম্মত যেন এই সতেরটি স্থান আধ্যাত্মিক ভাবে সতের রাকআত নামাযের মাধ্যমে অতিক্রম করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে। তাই সতের রাকাআত নামায ফরয করা হয়েছে। 

No comments:

Post a Comment

 

NameSilo Coupon Code "discount1$foryou"

like

like
like