Pages

এর তাৎপর্য ও ফযীলত بسم الله الرحمن الرحيم

Wednesday, September 24, 2014




                     بسم الله الرحمن الرحيم   কুরআন শরীফের সূরা নমলের ৩০ নং আয়াতের অংশ। সূরা তওবা ব্যতীত প্রত্যেক সূরার প্রথমে بسم الله الرحمن الرحيم   লেখা হয়। بسم الله  কে কুরআনুল কারীমের অন্যান্য আয়াতের মত সম্মান করা ওয়াজিব এবং তা অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করাও জায়েয নেই। এমনকি অপবিত্র অবস্থায় তেলাওয়াতরূপে পড়াও জায়েয নেই। তবে যেহেতু এটি একটি দোআও বটে সেজন্য দোআ স্বরূপ সর্ব অবস্থায় পড়া জায়েয। কুরআন শরীফ তেলাওয়াতসহ প্রত্যেক কাজ আল্লাহর নামে অর্থাৎ بسم الله  দ্বারা আরম্ভ করা উচিৎ। কারণ জাহেলী যুগে লোকেরা তাদের দেব-দেবীর নাম নিয়ে সব কাজ শুরু করত। এ প্রথা রহিত করার জন্য হযরত জিবরাঈল আঃ পবিত্র কুরআনে সর্ব প্রথম আয়াত নিয়ে এসেছিলেন। তাতে আল্লাহর নামে কুরআন পড়ার শুরুতে بسم الله  দ্বারা আরম্ভ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন اقرأ باسم ربك الذي خلق  অর্থাৎ- পাঠ করুন আপনার পালন কর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। 

               কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রথমে প্রত্যেক কাজ باسمك اللّهم বলে আরম্ভ করতেন এবং কোন কিছু লেখাতে হলেও প্রথমে ঐ বাক্য লেখাতেন। কিন্তু যখন بسم الله  অবতীর্ণ হলো তখন থেকে সর্বকালের জন্য بسم الله  বলে সব কাজ আরম্ভ করার নিয়ম প্রবর্তিত হয় (কুরতুবী, রূহুল মা’আনী)। 

            কুরআন শরীফে বিভিন্ন স্থানে بسم الله  বলে প্রত্যেক কাজ আরম্ভ করার উল্লেখ রয়েছে। যেমন পড়ার ক্ষেত্রে اقرا باسم ربك الذي خلق  , যানবাহনে আরোহণের ক্ষেত্রে بسم الله مجريها ومرساهاان ربي لغفور الرحيم,পশু পাখি জবেহ করার ক্ষেত্রেولا تأكلوا مما لم يذكراسم الله عليه  , পত্র লেখা, দূত প্রেরণ ও কোন পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে انه من سليمان وانه بسم الله الرحمن الرحيم  । যে কাজ بسم الله الرحمن الرحيم  ব্যতীত আরম্ভ করা হয় সে কাজে কোন বরকত থাকে না।  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
كل امر ذي بال لم يبدأ بسم الله فهو اقطع واجزم
অর্থাৎ- প্রত্যেক মর্যাদা পূর্ণ কাজ যা আল্লাহর নাম ব্যতীত আরম্ভ করা হয় তা অসম্পূর্ণ ও বিকল হয়ে থাকে। 

     এ ছাড়া বিভিন্ন হাদীসে ঘরের দরজা বন্ধ করতে, আলো নিভাতে, এমনকি কোন খোলা পাত্র ঢেকে রাখার ক্ষেত্রে, কোন কিছু খেতে, পানি পান করতে, আরোহণ, অবতরণ করতেও بسم الله  পড়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ছোট থেকে ছোট, বড় থেকে বড় প্রতিটি কাজকে বরকতময় করার জন্য بسم الله  পড়া আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

ب  (বা) হরফের তাৎপর্য
    আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কেন ب হরফ দ্বারা কালামে পাক শুরু করলেন তার কয়েকটি কারণ রয়েছে, তন্মধ্যে একটি কারণ বর্ণনা করা হলো, আলমে আরওয়াহে আল্লাহ তাআলা সমস্ত রূহকে জমা করে বলেছিলেন الست بربكم  আমি কি তোমাদের প্রভূ নই? তখন আমরা সকলে এক সাথে সমস্বরে بلي  বলেছিলাম। তাই তিনি সেই অঙ্গীকার পুরা করার জন্য বলেন, اوفوا بعهدي তোমরাপূর্ণ কর তোমাদের দেওয়া রূহ জগতের অঙ্গীকার।(الكريم اذا وعد وفي)


بسم الله  এর উপকারিতা ও ফযীলত

  بسم الله    পড়ার বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম কিছু উপকার তুলে ধরা হল।

ক. শয়তানের ধোঁকা থেকে নিরাপদে থাকার লক্ষ্যেبسم الله  এর বরকত  অনুগ্রহ ও আশ্রয়ের আধার। 
খ. بسم الله   দ্বারা কোন কাজ আরম্ভ করলে কাজটি ত্রুটি মুক্ত ও কল্যাণময় কাজে পরিণত হয়।
গ. بسم الله  ইহকালে নিয়মিত আমল করার দ্বারা পরকালে মাওলার সন্তুষ্টি অর্জন ও নাজাতের উসিলা হয়।

       হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত। যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তার আমল নামায় দশ হাজার নেকী লেখেন। দশ হাজার গুনাহ মুছে দেন। দশ হাজার মর্তবা তার জন্য বুলন্দ করে দেন।   
             অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে একবার বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পাঠ করবে তার কোন গুনাহ থাকবে না। 

            অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যখন বান্দা বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পাঠ করে তখন শয়তান এমন ভাবে গলে যায় যেমন শিশা আগুনের মধ্যে গলে যায়। 

           হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. হতে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তান যখন পায়খানা-প্রস্রাব কিংবা স্ত্রী সহবাসের উদ্দেশ্যে শরীরের গুপ্তাঙ্গ অনাবৃত করে তখন জ্বিন শয়তান তাদের কাজে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে এবং তাদেরকে জ্বালাতন করে। কিন্তু بسم الله পড়ে অনাবৃত হলে স্ত্রী হোক কিংবা স্বামী হোক তাদের এবং শয়তানের মাঝে পর্দা পড়ে যায়। তখন শয়তান আর দেখতে পায় না। بسم الله শরীফের এই মহত্ব এতই বেশি যা লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। 

এক বেদুঈনের কাহিনী 
আসরারুর ফাতেহা নামক কিতাবে আছে। একদা এক বেদুঈন হযরত নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সমীপে হাজির হয়ে আরজ করল। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি একজন মস্ত বড় পাপী, জঘন্য গুনাহগার। দয়া করে আল্লাহর দরবারে আমার গুনাহ মাফের জন্য দোআ করুন। তার এই আবেদনের উত্তরে নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি بسم الله الرحمن الرحيم পড়তে থাক। আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠ দয়ালু। তিনি তোমার গুনাহ মাফ করে দিবেন। বেদুঈন আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মাত্র এতটুকু? তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে কোন মুসলমান  পূর্ণ একীনের সহিত بسم الله পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা স্বীয় অনুগ্রহে তাকে দোযখের আযাব থেকে মুক্তি দান করবেন। জনৈক কবি বলেন 
تسميه را ورد جان بايد مدام – أتش دوزخ كند برخود حرام
অর্থঃ- যে ব্যক্তি بسم الله শরীফকে নিজে সারা জীবনের জন্য অযিফা বনায় সে নিজের জন্য জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে নেয়। 
প্রতি দানে বেহেশতের বালাখানা 
      আসরারুল আবরার কিতাবে হযরত উমর ফারুক রা. এর পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত হয়েছে। নব  কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বেহেশতে জাবালে রহমত নামে একটি পাহাড় আছে। সেই পহাড় শৃঙ্গে  একটি বিরাট সুরম্য নগরী, তার নাম বায়তুস সালাম। সেই নগরীতে নির্মিত হয়েছে এক মনোরম বালাখানা যার নাম কাসরুস্ সূরুর বা প্রমোদ ভবন। সেই বালাখানায় একটি কামরা আছে। কামরাটির নাম বায়তুল জাবাল। যারা নিয়মিত بسم الله শরীফ পাঠ করে তাদেরকে ঐ বালাখানা দান করা হবে। সেখান হতে বিনা পর্দায় আল্লাহ তাআলার দীদার লাভ হবে। 

এক ইহুদীর কন্যার ঘটনা 
লমআনে ছুফিয়া নামক কিতাবে বর্ণিত আছে। একদা এক আল্লাহওয়ালা আলেম কোন এক মজলিসে بسم الله শরীফের ফযিলত সম্পর্কে বয়ান করেছিলেন। ঘটনা ক্রমে এক ইহুদী উযীরের কন্যা সে মজলিসে উপস্থিত ছিল। بسم الله শরীফের ফযীলতের কথা শুনে তার অন্তর অত্যন্ত প্রভাবিত হল। সে তৎক্ষণাৎ দ্বীন ইসলাম কবুল করে মুসলমান হয়ে গেল। তার পর হতে সে অহরহ بسم الله শরীফের ওযীফা পড়তে লাগল। উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে সকল কথায় بسم الله শরীফ পড়তে থাকল। কন্যার এ অবস্থা দেখে ইহুদী পিতা তার উপর খুব নারাজ হল।  কন্যার মুখে بسم الله শরীফের যিকির বাড়তে লাগল। নানা প্রকার শাসন নির্যাতন করার পরও কন্যাকে بسم الله শরীফের যিকির থেকে বিরত রাখতে না পেরে পিতা মনে মনে স্থির করল, কোন জঘন্য অপবাদ দিয়ে তার দায়ে তাকে মেরে ফেলবে। অন্যথায় কন্যার এই ধর্মান্তরের খবর জাতিবর্গ ও সমাজে কর্ণগোচর হলে পিতাকে লজ্জার সম্মুখীন হতে হবে। 

          কন্যার পিতা ছিল তৎকালের বাদশার উযীর। বাদশার সীল মোহর করার আংটি তার কাছেই থাকত। একদা সে ঐ সীল মোহর কন্যার হাতে সোপর্দ করল। কন্যা সেটা بسم الله বলে হাতে নিল। আবার بسم الله বলে নিজ জামার পকেটে রাখল। রাত্রিকালে কন্যার ঘুমন্ত অবস্থায় তার জামার পকেট হতে পিতা গোপনে তা বের করে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দিল। পিতার ধারণা ছিল যে, পরদিন কন্যার কাছে ঐ সীল মোহর চাইলে সে যখন তা ফেরত দিতে অক্ষম হবে। তখন রাজকীয় সীল মোহর হারানোর অপরাধে তার মৃত্যু দণ্ড হবে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে ? পরদিন প্রভাতে জেলেরা মাছ ধরতে নদীতে গেলে এক জেলের জালে বড় একটি মাছ ধরা পড়ল। সে ঐ মাছটি বাদশার উযীরকে হাদিয়া বা উপহার দিল। উযীর মাছটি এনে কন্যার হাতে দিয়ে তা রান্না করতে বলল। কন্যা তার স্বভাব অনুযায়ী بسم الله বলে মাছটি হাতে নিল। অতঃপর মাছটির পেট কেটে দেখতে পেল বাদশার সীল মোহর করার সেই আংটিটি। যা তার পকেট হতে গত রাতে তার পিতা তাকে বিপদে ফেলার উদ্দেশ্যে গোপনে নিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছিল। সে بسم الله বলে মাছের পেট হতে বের করে নিজ পকেটে রেখে দিল। খাবার রান্না করে যথা সময়ে পিতার সামনে হাজির করল। খাওয়া দাওয়ার পর রাজ দরবারে যাওয়ার সময় হলে পিতা কন্যার নিকট ঐ আংটিটি চাইল। কন্যা তৎক্ষণাত بسم الله বলে নিজের পকেটে হাত দিয়ে তা বের করে দিল। এই ঘটনা দেখে তার পিতা স্তম্ভিত হয়ে গেল। 
কবি বলেন ঃ-
تسميه موجب شود فضل خدا- تسميه مانع شود جور وجفا
  بسم الله   এমন একটি কালেমা যা আল্লাহর অনুগ্রহকে নিশ্চিত করে দেয়, এবং যুলুম ও নির্যাতন দমিয়ে রাখে। 

بسم الله   শরীফে ১৯ হরফের তাৎপর্য
  بسم الله   শরীফে ঊনিশটি হরফ রয়েছে। এরও গভীর তাৎপর্য রয়েছে। দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পাঁচ ঘণ্টায়। বাকি থাকে ঊনিশ ঘণ্টা। এতেও যাতে তাঁর বান্দাদের ইবাদত শুন্য অবস্থায় না যায়, সে জন্য বাকি ঊনিশ ঘণ্টা সব কাজ بسم الله   দ্বারা আরম্ভ করা নির্দেশ দিয়েছেন।

      হাদীস শরীফে আছে بسم الله   শরীফে ঊনিশটি হরফ আছে। আর দোযখে আযাব প্রদানকারী ফেরেস্তাও ঊনিশ জন। যে ব্যক্তি সকাল সন্ধা ঊনিশ বার بسم الله   শরীফ পাঠ করবে, সে আযাব প্রদানকারী ঊনিশ জন ফেরেস্তার আযাব থেকে মুক্ত থাকবে। 

ফেরেস্তার কপালে بسم الله   শরীফ লিখে দেওয়া
       হাদীস শরীফে আছে, দোযখের প্রধান তত্বাবধায়ক মালেক নামক ফেরেস্তা নিজের অধিনস্ত কোন ফেরেস্তাকে দোযখের কোন বিভাগে আযাব দেয়ার জন্য পাঠালে তার কপালে بسم الله   শরীফ লিখে দেন। যাতে দোযখের আগুন হতে সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদে থেকে দোযখের বিভিন্ন স্তরে চলাফেরা করতে পারে। 
سبحان الله   দোযখের দারোগা যখন তার অধিনস্ত ফেরেস্তার কপালে بسم الله  লিখে দিলে তিনি দোযখের আযাব বা আগুন হতে নিরাপদে থাকতে পারেন। যেখানে খোদ আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদেরকে ঐ পবিত্র বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন। সেখানে মানুষ কি بسم الله   বরকতে দোযখ হতে নিরাপদ থাকবে না?

রোম সম্রাটের কাহিনী
      ছওলতে ফারুকী নামক কিতাবে আছে রোম সম্রাট কায়সার ইসলাম গ্রহণের পর একদা আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর ফারুক রা. এর সমীপে আরজি পেশ করলেন যে, হুজুর আমার সব সময় মাথায় ভীষণ ব্যথা থাকে। টিকিৎসা অনেক করেছি, কিন্তু কোন কাজে আসে নাই। ভাল হচ্ছে না। সম্রাটের এই আরজনামা পেয়ে হযরত ওমর রা. একটি কালো টুপি সেলাই করে সম্রাটের মাথায় দেয়ার জন্য লোক মারফত তা পাঠিয়ে দিলেন। আমীরুল মু’মিনীনের তরফ হতে একটি টুপি আসছে। এ খবর শুনে তিনি নিজে সংবর্ধনা দেয়ার  ভক্তি ভরে সিংহাসন ছেড়ে এগিয়ে আসেন। পরম শ্রদ্ধার সাথে টুপিটি গ্রহণ করে মুকুটের মত স্বীয় মস্তকে পরিধান করলেন। আর তখনি তার দীর্ঘদিনের মাথা ব্যথা দুর হয়ে গেল। কিন্তু যখন টুপি খুলে রাখতেন তখন আবার মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যেত। এই অবস্থা দেখে বিস্মিত হয়ে খুঁজতে লাগলেন। খুঁজতে খুঁজতে এক টুকরা জড়ানো কাগজ দেখতে পান। যার মাঝে بسم الله   শরীফ কথাটি লেখা ছিল। বুঝা গেল بسم الله   শরীফের বরকতে ব্যথা দুর হয়। 

সাত বার بسم الله   শরীফ পড়ে দম করা
       প্রত্যেক বার খানা খাওয়া বা খানা পাকানোর সময় بسم الله   শরীফ পড়ে খানার উপর দম করে যদি রান্না করা হয় বা খাওয়ানো হয়, তবে সন্তান সন্ততি রাগী হয় না। বরং যদি بسم الله   শরীফ পড়ে পানির উপর ফু দিয়ে এই পানি দ্বারা খাবার তৈরী করা হয় তবে ইন্শা আল্লাহ সারা ঘরে রহমতের ধারা বর্ষিত হবে। অর্থাৎ ঘরে শান্তি আসবে। 

         শায়খুল আরব অল আজম হযরত মাওলানা হাকীম মোহাম্মদ আখতার সাহেব দাঃ বাঃ বলেন, জিদ্দা থেকে আমার নিকট এই মর্মে একটি চিঠি এসেছিল যে, আমার ঘরে বেশীর ভাগ সময় ঝগড়া লেগে থাকে। স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান  প্রত্যেকের মধ্যে রাগ আর রাগ। কেউ থেকে কেউ কম নয়। আমি তাদের নিকট চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিলাম যে, যখন তোমরা খানা খাওয়ার জন্য দস্তরখান বিছাবে তখন بسم الله   শরীফ সাতবার  পড়ে খানার উপর দম করে খানা খাওয়াবে এবং যতটুকু সম্ভব চলতে ফিরতে সকলেই ইয়া আল্লাহু, ইয়া রহমানু, ইয়া রহীমু,  বেশি বেশি পড়তে থাকবে। আর যার মেজাজের মধ্যে বেশি রাগ, তার জন্য ঠান্ডা পানির মধ্যে গ্লুকোজ, একটি লেবুর রস ও তিন চা চামচ ইউসুফগোলের ভুসি মিশিয়ে খাওয়াবে যাতে রক্তের গরম কমে যায়, এটা নিয়মিত পান করবে। এক মাস পর চিঠি আসল যে, আলহামদু লিল্লাহ্ ঘরের মধ্যে শান্তি এসে গেছে। 


No comments:

Post a Comment

 

NameSilo Coupon Code "discount1$foryou"

like

like
like