রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ করেন, পুরুষ রূপধারণকারিণী মহিলার উপর আল্লাহর লা’নত। আজকে গোটা
বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, নারীরা নগ্নতা ও উলঙ্গপনাকে নিজেদের
কৃষ্টি কালচারে পরিণত করে নিয়েছে। তারা নারীত্বের পোশাককে বর্জন করে
পুরুষের পোশাক পরিধান করে চলছে। এর মাধ্যমে তারা নারী-পুরুষের সমান
অধিকারের শ্লোগানকে গোটা দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করার এক জঘণ্য ষড়যন্ত্রে
লিপ্ত রয়েছে। তারই কুপ্রভাবে আজ মুসলিম রমণীগণও আক্রান্ত। তাই দেখা যায়
মুসলিম মহিলারাও নিজস্ব পোশাককে বর্জন করে পুরুষের পোশাক পরিধান করে চলছে।
যার কারণে সে পুরুষ না মহিলা সেটা বুঝাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনি এক ঘটনা
আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
একবার দুইজন নারী শার্ট প্যান্ট পড়ে বাসে উঠল। তন্মধ্যে একজন
মহিলা রক্ষিত আসনে একটি সিট খালি পেয়ে বসে পড়ল। অপর জন একজন পুরুষের পাশে
গিয়ে বসে পড়ল। মজার ব্যাপার হল এই যে, দু’জনই যে মহিলা সেটা বুঝার কোন উপায়
ছিল না। তাই পুরুষ বেশভূষার ঐ মহিলাকে মহিলার আসনে বসা দেখে যাত্রীরা
চেঁচামেচি শুরু করে দিল। কিছুক্ষণ পরে ঐ বাসের একজন ভদ্রমহিলা উঠে মহিলার
আসনে সিট না পেয়ে দাড়িয়ে থাকেন। তখন একজন যাত্রী রেগে ঐ পুরুষ বেশের নারীকে
বলল, হ্যালো ভাই! আপনি পুরুষ হয়ে মহিলার আসনে বসে আছেন? আর এই ভদ্রমহিলা
দাঁড়িয়ে আছেন! দয়া করে তাকে বসতে দিন। সাথে সাথে তার পাশের ছিটে বসা পুরুষ
বেশের মহিলাটি বলে উঠল, হ্যালো ভাই! আপনি তো ভুল করেছেন ও তো আমার মেয়ে।
লোকটি বিলম্ব না করে বলল, সরি আমাকে মাফ করবেন। আপনি যে তার বাবা হন সেটা
আমি বুঝতে পারি নি। সাথে সাথে সে বলে উঠল আপনিতো আরও একটি ভুল করলেন। আমি
কিন্তু বাবা নই, আমি হলাম ওর মা। লোকটি সাথে সাথে মাথা নিচু করে নিল। মনে
মনে বলল হায়রে! এই কি মুসলিম নারী?
তিক্ত হলেও ঘটনাটি সত্য। তাই সকল রমণীকে রাসূলের আদর্শ গ্রহণ
করা উচিৎ। অভিভাবকদের দায়িত্ব হল পরিবারস্থ সকলকেই ইসলামী আদর্শ মানতে
উৎসাহী করা। নইলে একে অন্যের রূপ ধারণ করার ফলে ঘরে-বাইরে অহরহ্ লা’নত
বর্ষণ হতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা সকলকে অভিশপ্ত জীবন-যাপন করা থেকে হেফাযত
করুন। আমীন
No comments:
Post a Comment