Pages

সালামের মহত্ব

Wednesday, October 16, 2013



         সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি আমাদেরকে নিজ কুদরত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। আমরা যেন তার নির্দেশ মোতাবেক জিন্দেগী যাপন  করে সুরক্ষিত স্থান বেহেস্ত লাভ করতে পারি। আমাদের সকলেরই একই আশা, আমরা যেন মৃত্যুর পরই সেই কাক্সিক্ষত স্থান বেহেস্ত লাভ করতে পারি। আর সেই কাক্সিক্ষত বেহেস্ত লাভ করতে হলে আমাদের পূর্ণ ঈমানদার হতে হবে। কেননা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন যে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা বেহেস্তে যেতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে। আর আমি তোমদের মাঝে এমন একটি বিষয় বলে দিচ্ছি সে অনুযায়ী কাজ করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। আর তা হচ্ছে, “তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন কর। পরিচিত অপরিচিত সকলকে সালাম দাও।” 

    তাই আমাদের পূর্ণ ঈমানদার হতে হলে নামায, রোযাা, হজ্ব ও যাকাতের সাথে সাথে ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, কালো-সুন্দর, নির্বিচারে সকল মানুষকে ভালবাসা উচিত। হিংসা-বিদ্বেষ ত্যাগ করে সকলের সাথে সুমধুর সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার যে সকল উপায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলে দিয়েছেন, সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে  বেশি কার্যকর এবং পরীক্ষিত হল সালামের ব্যাপক প্রচলন করা। তাই আমাদের করণীয় হল, কারো সাথে দেখা হলেই আস্সালামু আলাইকুম বলে তাকে সম্ভাষণ জানানো এবং তার কল্যাণ কামনা করা।
    
    সালাম এমন একটি মহৎ শক্তি যা দিয়ে বিনা রক্তপাতেই শত্রুকে আপন করা যায়। শত্রুতা ভুলিয়ে বন্ধুত্বের মায়াজালে আটকে ফেলা যায়। পরীক্ষা মূলক সালামের আমলটি করে দেখি। যদি আমাদের সহপাঠি, প্রতিবেশী বা খেলার সাথীদের মধ্যে কেউ কারো সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে, শত্রুতা মূলক আচরণ করে, তাহলে সেও যদি তার সাথে শত্রুতা পোষণ কর তাহলে উভয়ের মাঝে শত্রুতা কখনো শেষ হবে না। বরং বেড়েই চলবে দিন দিন। তাছাড়া কোন মানুষকে শত্রু মনে করে অবিরাম তার সাথে শত্রুতা পোষণ করা মানবিক নয়, বরং এটা পাশবিক আচরণ। বনের হিংস্র পশুদের মধ্যে এ স্বভাব থাকে। আমাদের কারো মাঝে এ দোষ থাকা আদৌ উচিৎ নয়। তাই আমরা নিজেদেরকে সংযত করি, ধৈর্য্য ধারণ করি, শত্রুর সাথে দেখা হলেই তাকে সুন্দর ভাবে হাসি মুখে আসসালামু আলাইকুম বলি। হয়তো সে প্রথম কিছু দিন সালামের জবাব না দিয়ে এড়িয়ে চলবে, তবুও আমরা হতাশ হব না। বরং তাকে সালাম দিতে থাকব। কেননা প্রতিটি সালামের বিনিময়ে আল্লাহর দরবারে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি হতে থাকবে। আর শত্রুর মনেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে থাকবে। এক সময় দেখা যাবে শত্রুই আগে সালাম দিয়ে ফেলবে। এভাবে সালাম আদান প্রদান করার মাধ্যমে শত্রুতার পরিবর্তে নিবিড় ভালবাসা গড়ে উঠবে। আর এভাবে আমরা পরস্পরকে ভালবেসে পূর্ণ ঈমানদার হয়ে প্রিয় রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অমূল্য বাণী অনুযায়ী আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থান বেহেস্ত লাভ করতে পারব। ইনশাআল্লাহ।

জ্যোতিষ বিদ্যা সম্পর্কে ইসলামের হুকুম

Tuesday, September 17, 2013



                   মানুষের ভবিষ্যত জানার জন্য জ্যোতিষ বিদ্যা শুধু হারামই নয় বরং শিরক ও কুফুরের শামিল। জ্যোতিষীর নিকট যাওয়া এবং তার ভবিষ্যত বাণী শোনা, জ্যোতিষ বিদ্যার জন্য বই ক্রয় করা বা জ্যোতিষীর কাছে অবস্থা বলে হাত দেখিয়ে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে চাওয়া সবই ঈমান বিধ্বংসী মারাত্মক কুফুরী প্রথা। এমনিভাবে গণক জ্যোতিষীর বক্তব্যের প্রতি বিশ্বাসী না হয়ে শুধু তার নিকেটে যাওয়া এবং কিছু জানতে চাওয়া সম্পর্কে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাতের নামায কবুল হয় না। (মুসলমি শরীফ) 
                অন্য হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি গণকের নিকট গিয়ে কোন বিষয় জানতে চায় চল্লিশ (দিন) রাত পর্যন্ত সে তওবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। আর যদি সে গণকের কথা বিশ্বাস করে তবে সে কুফুরী করল। কোন কোন বর্ণনায় আছে চল্লিশ-দিন রাত পর্যন্ত তার নামায ও অন্যান্য ইবাদত কবুল হয় না। (তবরানী যাওয়াজির ২:১৭৭)

                    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন,
                          العيافة والطيرة والطرق من الجبت 
অর্থাৎঃ জ্যোতিষীদের কর্ম কা- শুভাশুভের লক্ষণ নির্ণয় বা রাশিফল সবই কুফুরী প্রথার অন্তর্ভূক্ত (আবু দাউদ শরীফ ২:৫৪৫, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান ২:১৭৭) 


           হস্তরেখাবিদের নিকট ভালমন্দ জানার উদ্দেশ্যে যাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা জাল্লা শানুহু কুরআন শরীফে বলেন, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চই কান চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা বনী ইসরাইল :৩৬) 

             অশুভ ফাল (গণনার) ভিত্তিতে সফর থেকে বিরতি না থাকার বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, لن ينال الدرجات العلا من تكهن او استقسم او رجع من سفر تطيرا  অর্থাৎ- ঐ ব্যক্তি কখনো উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হবে না যে গণক সাজে অথবা তীর নিক্ষেপের  মাধ্যমে গোস্ত বণ্টন করে অথবা পাখি বাম দিক উড়ে গেলে (অশুভ লক্ষণ মনে করে) সফর থেকে বিরত থাকে। আর ডান দিকে উড়ে গেলে (শুভ লক্ষণ মনে করে) সফরে যায়। (বিশুদ্ধ সূত্রে তাবরানী বর্ণনা করেন, বায়হাকী, যাওয়াজির ১ম খন্ড ২৪৮ পৃঃ )

             সতর্কবাণীঃ  উক্ত গুনাহ তখনই কবীরা গুনাহ হিসেবে গণ্য হবে যখন জাহেলী যুগের ন্যায় এ ফলাফলের প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হবে যে, পাখি অমুক দিকে উড়ে গেলে সফর ফলপ্রসূ হবে অন্যথায় নয়। উক্ত কাজের ফলাফলের প্রতি নিশ্চত বিশ্বাস স্থাপন করা শিরকের পর্যায়ের কবিরা গুনাহ। (যাওয়াজির ১:২৪৮) 

      যদি কেউ গণক-ঠাকুর অথবা জ্যোতিষের নিকটে যায় তার থেকে আল্লাহ এবং অন্যরাও হয়তো অদৃশ্য ও ভবিষ্যত সম্পর্ক জানে বলে বিশ্বাস করা প্রকাশ পায়। এটাও এক ধরণের র্শিক। কারণ আল্লাহ তাআলা পরিষ্কারভাবে বলেছেন, গাইবের কুঞ্জি একমাত্র আল্লাহর কাছে। তিনি ছাড়া তা কেউ জানে না। (সূরা আনআম :৫৯) 

        তাই কেউ জ্যোতিষীর রাশিচক্র বা প্রদত্ত ভবিষ্যতবাণী বিশ্বাস করলে, সে সরাসরি কুফুরী করে ঈমান হারাবে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলল তা বিশ্বাস করল, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যা অবতীর্ণ হয়েছে সে তা অবিশ্বাস করল। (আবু দাউদ ২:৫৪৫ ও আহমদ) 

             উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝায় গণক ও জ্যোতিষীর একই হুকুম অর্থাৎ উভয়ের কাছে যাওয়া এবং তাদের  কথা বিশ্বাস করা কুফুরী কাজ। যার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। রাশি বলতে ইসলামের কিছুই নেই। ফালের কোন স্থান ইসলামে নেই। সুতরাং সব ধরণের গণক ও জ্যোতিষী হতে দূরে থাকা উচিত। কোন অবস্থাতেই তাদের কাছে যাওয়া ঠিক না। অনুরূপ তাদের রিং, আংটি, হার ইত্যাদি ব্যবহার করা, তা ধরা, তাদের বই-পুস্তক, খবরের কাগেজে রাশিচক্রের কলাম পড়া বা বিশ্বাস করা না জায়েয ও গোনাহ।  এ ছাড়া গ্রহের তা’ছীর বিশ্বাস করা, হিন্দুদের দেব-দেবতা বা মুর্তির কোন ক্ষমতা আছে বিশ্বাস করা ঈমান ধ্বংসী। এ থেকে সবার দূরে থাকা জরুরী। 

রূপচর্চায় বিজাতির অনুকরণের কুফল

Sunday, May 5, 2013




মেয়েদের কপালে টিপ দেয়া জায়েয নেই

কপালে টিপ দেয়া হিন্দুয়ানী প্রথা এবং তাদের ধর্মীয় প্রতীক। আর কোন মুসলমানের জন্য বিধর্মীদের প্রথা পালন করা জায়েয নয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, من تشبه بقوم فهو منهم যে যে জাতির সাদৃস্য অবলম্বন করে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়। কথিত আছে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)কে যখন জালিম বাদশাহ নমরূদ আগুনের কুণ্ডুলিতে নিক্ষেপ করেছিল তখন সে ¯'ানে তাঁকে রক্ষা করার জন্য যেন ফেরেস্তা না আসতে পারে সে জন্য শয়তান বুদ্ধি দিয়েছিল, সে ¯'ানে মেয়েদেরকে নিয়ে যিনা করতে। অবশ্য নমরূদের সে চেষ্টা ফলদায়ক হয় নি। কিš' পরবর্তীকালে সে নষ্ট হয়ে যাওয়া মেয়েদেরকে সমাজ থেকে আলাদা করে রাখার জন্য তাদের মাথায় সিঁদুর দিয়ে চিহ্নিহ্নত করে দেয়া হয়েছিল। আজকাল এটা হিন্দু ধর্মের বিশেষ একটা কালচার। সুতরাং, এটা মুসলমান মেয়েদের কালচার হতে পারে না।

নখ পালিশ লাগানো ঠিক নয়
সু¯' মানুষের আঙ্গুলের প্রতিটি নখ প্রতি মাসে এক ইঞ্চির এক অষ্টমাংশ বৃদ্ধি পায় এবং একজন সাধারণ মানুষের জীবনে পঞ্চাশ বছরে আঙ্গুল ছয় ফুট নখ সৃষ্টি হয়। উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি সংবাদ পত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী আজ থেকে দুই হাজার বছর আগে ডাক্তারগণ আঙ্গুলের নখ এবং সা¯'্য সম্পর্কে বুঝতে পেরেছিলেন। বর্তমানে ডাক্তারগণ সর্ব প্রথম রোগীর নখের উপর নযর ফেলেন। নখের সাদা রং রক্তে লোহিত কনিকার স্বল্পতার ইঙ্গিতবাহী। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাচীনকালেও মিশরের মহিলারা নখের উপর রং এবং তৈল লাগাত। নেইল পালিশের ব্যাবহার ঐ ফেরাউনী যুগের স্মৃতি। তৎকালীন আমলে তৈল দিয়ে রং উঠিয়ে ফেলা যেত। কিš' বর্তমান যুগের মহিলারা নেইল পালিশ ব্যাবহার করে যা নখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কমদামী নেইল পালিশের রিমোভার স্বাভাবিক আর্দ্রতা শোষণ করে। যার ফলে নখকে বেশী লম্বা করা উচিত নয়। এটা দৈহিক দুর্বলতা ও অসু¯'তার কারণ হতে পারে। এগুলো স্বা¯'্য বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত কথা। শরিয়তের কথা হল, নখের উপর যে নেইল পালিশ ব্যাবহার করা হয় মুলতঃ এটা এক প্রকারের আবরণী। অযূ বা গোসলের সময় এ আবরণী ভেদ করে নখের গায়ে পানি পৌছে না। সুতরাং কোন বালেগা মেয়ে বা পুরুষ যদি এটা ব্যবহার করে তাহলে তার অয়ূ ও গোসল কোনটাই দুরস্ত হয় না।

ভ্রু সরুকরণ
মাত্রাতিরিক্ত কৃত্রিম রূপ ও সৌন্দর্য অর্জনের আর একটি আধুনিক উপায় হচ্ছে চুল বা পশম উপড়ানো। আর তা সাধারণতঃ ভ্রুর চুল উপড়িয়ে ভ্রুকে যথাসম্ভব সরু করা হয়। কিš' এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। আমাদের দেশের শহরগুলোতে অসংখ্য বিউটি পার্লার গজিয়ে উঠেছে। শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন প্রকার রূপচর্চার মাধ্যমে নাকি মহিলারা বিনোদন লাভ করে। বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে হযরত ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যারা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করে, যে সব নারী ও পুরুষ নিজের দেহে উলকি করায় এবং যারা নিজেদের ভ্রুর পশম উপড়ায় এবং যারা সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে দাঁত সরু করে তাদের উপর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর লা’নত।

আলগা চুল লাগানো ঠিক নয়
নারীদের মাথার চুলে অন্যের চুল লাগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করাও হারাম। তা আসল চুল হোক বা নকল চুল হোক। ইমাম বুখারী রহ. হযরত আয়েশা রা. আসমা ইবনে মাসউদ রা. ইবনে উমর ও আবু হুরাইরা রা. সূত্রে হাদীস উদ্ধৃত করেছেন,
ان النبي الله صلي الله عليه وسلم لعن الواصلة والمستوصلة
যে চুল জোড়া লাগায় এবং যে অন্যেদের দ্বারা এ কাজ করায় উভয় নারীর উপর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন। নারীর ব্যাপারে যখন এ কথা তখন যদি পুরুষ এ কাজ করে তাহলে পুরুষের বেলায়ও লা’নত হবে। এমনকি যে নারীর মাথার চুল কোন রোগের কারণে পড়ে যায় তার পক্ষে অন্য কারো চুল নিজের মাথায় জড়ানো জায়েয নেই। চুলে চুলে জোড়া লাগানো ইহুদীরা ছাড়া আর কেউ এ ফ্যাশন করে বলে আমি মনে করি না। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুলের সাথে অপরের চুল জড়ানোকে মিথ্যা এবং ধোঁকা আখ্যায়িত করেছেন। আর এক বর্ণনা মতে হযরত মুআবিয়া রা. মদীনা বাসীদের বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ধরণের কাজ করতে নিষেধ করেছেন তা আমি নিজে শুনতে পেয়েছি। তাকে এ ও বলতে শুনেছি যে, বনী ইসরাঈলী মেয়েরা যখন এ ফ্যাশন শুরু করল, তখনই তাদের উপর আল্লাহর আজাব আসল। আর তখনই ধ্বংস শুরু হল।

নারীদের মাথা কামানো ও মাথার চুল ছোট করা 
হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের চুল কাটতে নিষেধ করেছেন। ইসলামী জীবন ব্যব¯'ায় নারীদের চুল কামানো ও পশম কাটা কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। (নাসাঈ শরীফ)
কেননা নারীদের সৌন্দর্য লম্বা কেশের সাথে অধিক সম্পর্কিত। যখন নারীদের এই চুল কেটে বা ছেটে ফেলা হয় বা বিশেষ হেয়ার বিন্যাস করা হয় তখন নারীর দেহে নানান প্রকার রোগ দেখা দেয়। আমেরিকান এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় যে, নারীদের চুল বৃদ্ধি সু¯'তা ও সবলতার জন্য অতীব জরুরী। কেননা তাদের চুল যত বৃদ্ধি পাবে ততই তাদের দৈর্য্য সহনশীলতা কমনীয়তা বৃদ্ধি পাবে। ফলে তারা অসংখ্য রোগ-ব্যাধি থেকে নিরাপদ থাকবে । কেননা মহিলাদের জন্য সৌন্দর্য হল মাথার চুলকে লম্বা করা। পুরুষের জন্য সৌন্দর্য হল দাড়িকে এক মুষ্ঠি লম্বা করা। পুরুষ-মহিলাদের মধ্যে আসমান-যমীন পার্থক্য। পুরুষের মাথার চুলকে ছোট করবে অথবা সুন্নত মোতাবেক রাখবে। পক্ষান্তরে নারী জাতির চুল কুদরতী ভাবে লম্বা ও ঘন হয়। তারা যদি সে চুল কাটে বা ছাটে তাহলে তাদের দেহে এমন ব্যধি দেখা দেয়, যার বিবরণ ব্যাধির তালিকায় বিদ্যমান। এরূপ নারীরা দৈহিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সূতরাং একজন সু¯' নারীর জন্য বিজাতির অনুকরণ বর্জন করা এবং সুন্নত মোতাবেক জীবন-যাপন করা অপরিহার্য।

 

NameSilo Coupon Code "discount1$foryou"

like

like
like