আল্লাহ তা’য়ালা আসমান, যমীন, গাছপালা, নদী-নালা, খাল-বিল, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, পাহাড়-পর্বত, সব কিছুকে সুন্দরভাবে মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ পাক এর সাথে সম্পর্ক করার জন্য। মানব জাতি যা কিছু করবে সব কিছু যেন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য হয়। আমরা সারা জীবন যেন আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি মুতাবেক আমাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি। আল্লাহ তাআলার আমাদেরকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মখলুকের মহব্বত পরিত্যাগ করে আল্লাহ পাকের প্রতি মহব্বত স্থাপন করা এবং তার সাথে বন্ধুত্ব করা। যদি আল্লাহ পাক আমাদের এই মহব্বতকে গ্রহণ করে নেন, তাহলে আমাদের দুনিয়ায় শান্তি হবে এবং আখেরাতে ভয় ভীতি থাকবে না। যেমন তিনি নিম্ন আয়াতে বলেছেন,
الا ان اولياء الله لا خوف عليهم ولاهم يحزنون
অর্থাৎঃ নিশ্চই আল্লাহর ওলীগণের কোন ভয় নেই, কোন চিন্তা নেই। আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও মহব্বত পেতে হলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন আদর্শকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা একান্ত জরুরী। এই কথার অর্থ হচ্ছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পূর্ণ জীবন কিভাবে কাটিয়েছেন, কোন কাজ করতে আদেশ করেছেন, কোন কাজ করতে নিষেধ করেছেন, কোন কাজ আমাদের করণীয়, কোন কাজ আমাদের বর্জনীয়, এই সকল কাজকে আমাদের প্রিয় নবী যে ভাবে তাঁর সারা জীবন পরিচালনা করেছেন ঠিক তেমনিভাবে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা।
আমাদের করণীয় হল, কালেমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত সবগুলো ঠিক ভাবে গুরুত্বের সাথে আদায় করা। যিকির দরূদ ও নফল নামাযের প্রতি আগ্রহী হওয়া। নফল নামাযের দ্বারা আল্লাহ পাকের নৈকট্য বেশী অর্জন করা যায়।
আমাদের করণীয় হল, কালেমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত সবগুলো ঠিক ভাবে গুরুত্বের সাথে আদায় করা। যিকির দরূদ ও নফল নামাযের প্রতি আগ্রহী হওয়া। নফল নামাযের দ্বারা আল্লাহ পাকের নৈকট্য বেশী অর্জন করা যায়।
আমাদের বর্জনীয় কার্যবলী হল, শিরিক, কুফর, তাকাব্বুর, হিংসা, বিদ্বেষ, মিথ্যা, জুলুম-অত্যাচার, দুনিয়ার মহব্বত, আখেরাতের প্রতি উদাসীনতা এবং আত্মীয়তা ছিন্ন করা। এ সকল কাজ থেকে যদি নিজেদের অন্তরকে পবিত্র রাখা যায়, তাহলে অন্তরে নূর সৃষ্টি হবে, আল্লাহর মহব্বতে অন্তর পরিপূর্ণ থাকবে। শয়তানের ধোকা অন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না। আল্লাহ ও আল্লাহর নবীর ভালবাসা অর্জন হবে।
আল্লাহ পাক যদি আমাদের মহব্বতকে কবুল করে নেন এবং আমাদের প্রতি রাজি হয়ে যান তাহলে আমাদের মৃত্যুকালে তেমন কোন কষ্ট হবে না। কবরের জগতে সুখের নিদ্রায় থাকা সম্ভব হবে। হাশরের দিনে আল্লাহ পাকের আরশের ছায়ায় স্থান হবে। মিজানে হিসাব হবে না। পূলছিরাতে গুনাহের বোঝা বহন করতে হবে না। সর্বশেষে জান্নাতে স্থান হবে। সেখানে আল্লাহ তাআলার দিদার নছিব হবে, চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ হবে। আমরা যেন আল্লাহ পাকের ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহব্বত আমাদের অন্তরে পয়দা করতে পারি আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন।
No comments:
Post a Comment