Pages

সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কুরআন ও রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

Friday, August 29, 2014





“আকাশ হতে চাঁদ নেমেছে 
মা আমিনার কোলে,
আঁধার রাতে উঠল যেন
চাঁদের চেরাগ জ্বলে।”

            নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বকালের, শ্রেষ্ঠ মানব। মানব সমাজের জীর্ণ, ঘুণে ধরা কাঠামোর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তিনি বিরল। ব্যক্তিগতরূপে সমাদৃত। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। হৃদয় গভীরে বরণীয়। তিনি ছিলেন সাহাবীদের জন্য একজন আদর্শ শিক্ষক। তিনি অনাথ, উৎপীড়িত, নিপীড়িত, বিতাড়িত ব্যক্তির আদর্শ। তিনি দাম্পত্য জীবনের, বিচারকের, প্রভূর (মহাজন), ভৃত্যের আদর্শ। তিনি দাতা ও গ্রহীতার, বীরত্ব ও সৎ সাহসের আদর্শ। তার জীবনে বহু ঘটনারই আবর্তন ঘটেছিল। আজ তাঁর প্রবর্তিত মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি ফিরিস্তি উপস্থাপন করব। 
    
             মানুষের সহজাত অধিকারই মানবাধিকার বলে বিবেচিত। যুগে যুগে, দেশে দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণণ হয়েছে। দুর্বলের উপর সবলের জুলুম চালানো হয়েছে কখনও সমাজের নামে. কখনও রাষ্ট্রের নামে, কখনও বা ধর্মের নামে । মানবতার এ লাঞ্ছনা, সত্যের এ অবমাননা যুগে যুগে মানুষের মৌলিক অধিকারকে করছে পর্যুদস্ত। এ অবস্থার পরিপেক্ষিতে মানুষকে তার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সুদীর্ঘ সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয়। 
              মানুষের ইতিহাসের শুরু থেকে ষষ্ঠ শতকের শেষ ভাগ পর্যন্ত সময়ে মানবাধিকার আদায়ের সংগ্রামের কোন ইতিহাস আমরা জানি না। সে সময়ে বিশ্বের সরকার শাসন পদ্ধতি ছিল ব্যক্তি কেন্দ্রিক। বিধিবদ্ধ শাসন তন্ত্রের অনুপস্থিত তৎকালীন শাসকদের খেয়াল-খুশি জনিত মুখোচ্চারিত বাণীই ছিল রাষ্ট্রের আইন। কাজেই সেখানে জন স্বার্থের পরিপন্থী শাসকের যথেচ্ছাচারের অবকাশ ছিল। 

               কিন্তু সপ্তম শতকে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মর্যাদা সম্পর্কে নতুন কথা শুনিয়ে বিশ্ববাসীকে বিমুগ্ধ করেন। ওহী লাভ করে তিনি প্রচার করেন যে, মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহ তা’য়ালার খলীফা এবং মানুষকে সর্বোত্তম আদর্শ রূপে সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ মানুষ হল আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের এ ঘোষণা এক ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোন জীবন ব্যবস্থায় করা হয় নি। ইসলাম বর্ণ, গোত্র, ভাষা, সম্পত্তি বা অন্য কোন মর্যাদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে না। ইসলামের বাণী হচ্ছে, “মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ, নেই। সব মানুষই সমান এবং একে অন্যের ভাই।” রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বাস করতেন যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য না থাকলে দেশের কল্যাণ হয় না। তার মতে যে দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর বাস সে দেশে পরম সহিষ্ণুতার প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি। নিজে বাঁচ এবং অপরকে বাঁচতে দাও” নাগরিক জীবনের এ নীতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে আহ্বান করে এক বৈঠকে বসেন এবং সকলে সম্মতিক্রমে ৬২৪ সালে এক সন্ধিপত্র সম্পাদন করেন। এ সন্ধি পত্র ইতিহাসে “মদীনার সনদ” নামে আখ্যায়িত। “মদীনার সনদ” পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান এবং একে মহাসনদ (গধমহধ ঈধৎঃধ) বলা যেতে পারে। আরবী ভাষায় লিখিত ৪৭ টি শর্ত সম্বলিত “মদীনার সনদ” থেকে কয়েকটি ধারা নিচে তুলে ধরছি। 

  • মদীনার সনদে স্বাক্ষরকারী ইহুদী, খ্রীষ্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমান সম্প্রদায় সমূহ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে এবং তারা একটি জাতি গঠন করবে। 
  • পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে ; মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা বিনা দ্বিধায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। 
  • রক্তপাত, হত্যা, বলাৎকার, এবং অপরাপর অপরাধ মূলক কার্যকলাপ একেবারেই নিষিদ্ধ করা হল 
  • দুর্বল অসহায়কে সর্বতভাবে সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে। 
  • ইহুদীদের মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে। 


                এসব ধারায় সুস্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রই পৃথিবীতে প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রকৃতপক্ষে ইসলামের মানবাধিকার একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যা সব মানুষের জন্য অনুকরণীয়।  
                 পরবর্তী পর্যায়েও আমরা দেখতে পাই যে, আরববাসীরা নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করে তাদের খলীফা নির্বাচন করে। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে হযরত আবু বকর সিদ্দি রা. প্রথম ভাষণে বলেন, আমি সৎপথে থাকলে আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন এবং সমর্থন যোগাবেন। আর বিপথগামী হলে উপদেশ দিয়ে পথে আনবেন। হযরত উমর রা. এর শাসন আমলেও প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলার পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত ছিল। শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে তারা তাদের নিজস্ব অভিমত, অভিযোগ, বিকল্প প্রস্তাব ইত্যাদি পেশ করতে পারতেন। এর প্রমাণ আমরা পাই যখন আমরা দেখি যে, একদা একজন সাধারণ ব্যক্তি মসজিদে খুৎবা পাঠের প্রাক্কালে কাপড় বন্টন সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিতীয় খলীফার নিকট কৈফিয়ত চেয়ে তাকে খুৎবা পাঠ থেকে বিরত করেিেছলেন। জনগণের নাগরিক অধিকার ভোগ করার এ ধারা হযরত আলী রা. এর শাসনামল (৬৬১ সাল) এর পরেও অব্যাহত ছিল। এ পর্যায়ে কুরআনুল হাকীমে কি ভাবে মানবাধিকার সংরক্ষিত রয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্ত তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরছি। 


মানব জন্মের প্রকৃত তথ্য দিয়ে মর্যাদা সংরক্ষণঃ

         দাম্ভিক বস্তুবাদি দর্শন কল্পিত বিবর্তনবাদী দর্শন সৃষ্টি করে মানুষকে স্তরক্রমে কাকড়া থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বানরের বংশধর বলে প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে চরমভাবে তার মর্যাদা বিনষ্ট করেছে। এরশাদে ইলাহী 
 يا ايها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحده وخلق منها زوجها وبث منهما رجالا كثيرا ونسـاء-


খলীফার মর্যাদা প্রদানঃ

           মানুষ কোন বানরের বংশধর নয় বরং তারা হলেন নবীর বংশধর। সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব। তাদেরকে দেয়া হয়েছে আল্লাহার প্রতিনিধি হওয়ার সৌভাগ্য। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
 اني جاعل في الارض خليفة-                                   

নিরাপত্তার অধিকারঃ

             ইসলামী আদালতে মৃত্যুদণ্ড যোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হওয়া ও আদালত কর্তৃক শাস্তি ঘোষণা ছাড়া কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করাকে সমস্ত মানবকুলের হত্যার সমতুল্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, 
১: من قتل نفسا بغير نفس او فساد في الارض فكانما قتل الناس جميعا-      
২:- ومن يقتل مؤمنا متعمدا فجزائه جهنم خالدا فيها وغضب الله عليه ولعنه واعدله عذابا اليما-       

নারীর মর্যদা ও অধিকারঃ
          সম্প্রতি আধুনিকতার দোহাই দিয়ে নারী স্বাধীনতার নামে যে, স্বেচ্ছারিতা এবং অশ্লীলতার গড্ডালিকা প্রবাহ চলছে, তা জাহেলী যুগেরই পুনরাবৃত্তি মাত্র। 
             ইসলামই নারী পুরুষের মধ্যে পর্দার বিধান চালু করেছে। প্রগতিবাদীদের মগজটা যদি একেবারে নষ্ট হয়ে না গিয়ে থাকে, তবে তাদেরকে প্রশ্ন করব, নারীর নিরাপত্তা কি পর্দায় থাকার মধ্যে নাকি বে-পর্দায় থাকার মধ্যে? রাস্তায় নামিয়ে আপনারা নারীদেরকে কিছু কিছু অধিকার অবশ্যই দিতে পেরেছেন। যেমন ঃ- ১. অপহৃতা হওয়ার অধিকার। ২. ধর্ষিতা হওয়ার অধিকার। ৩. এসিডে দেহ ও মুখমন্ডল জ্বলসে যাওয়ার অধিকার। ৪. বখাটেদের উৎপাত উৎপীড়িত হওয়ার অধিকার। ৫. অতঃপর লাশ হওয়ার অধিকার। ৬. মহর থেকে বঞ্চিত হওয়ার অধিকার। ৭. যৌতুক দিতে বাধ্য হওয়ার অধিকার। ৮. গাড়ীর রড ধরে দাঁড়িয়ে থেকে পুরুষদের ঠাসাঠাসি খাওয়ার অধিকার ইত্যাদি। যারা পর্দা প্রথাকে নবযুগীয় বলে উড়িয়ে দিতে চান, তারা প্রকৃত পক্ষে মাতৃ জাতিকে অপমান এবং লাঞ্ছনারই মুখোমুখী করেন। ইরশাদে রব্বানী,
১:- هن لباس لكم وانتم لباس لهن-
২:- ولهن مثل الذي عليهن بالمعروف-

সম্পদের মালিকানা সংরক্ষণের অধিকারঃ

           মানুষের দুনিয়ার জীবনকে সুখী সমৃদ্ধ ও শান্তিময় করে গড়ে তোলার জন্য সম্পদের মালিকানা ও ভোগ দখলের অধিকার দিয়েছে ইসলাম। এ মর্মে আল্লাহ তা’য়ালার ঘোষণা, 
ولا تأكلوا اموالكم بينكم بالباطل الا ان تكون تجارة عن تراض منكم-                  

ইজ্জত ও মর্যাদা রক্ষার অধিকারঃ

          ইসলাম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মানুষের ইজ্জত সম্মান রক্ষার সুস্পষ্ট বিধান ঘোষণা করেছে। মানুষের মর্যাদাহানী, হেয় প্রতিপন্ন করা, কুৎসা রটনা, বিদ্রুপ, উপহাস, নাম ও উপাধিকে বিক্রিত করা ইত্যাদিকে হারাম ঘোষণা করেছে। এ ব্যাপারে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের বাণী,
১:- لا يسخر قوم من قوم عسي ان يكونوا خيرا منهم-                  
২:- اجـتـنبوا كثيرا من الظن ان بعض الظن اثـم-                                    
৩:- لايغضب بعضكم بعضا-                                                         

 মতামত প্রকাশ ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে স্বাধীনাতার অধিকারঃ

          একটি ইসলামী রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মের লোক নিরাপদে বাস করতে পারবে এবং তার মতামত প্রকাশও স্বাধীনভাবে র্ধম পালন করতে পরবে। 
এরশাদে বারী তা’আলা, لا اكرة في الدين    প্রত্যেক ধর্মের উপাস্যদের নিন্দাবাদ ও গালমন্দ কুরআন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিষিদ্ধ করেফে- لا تسبوا الذين يدعون من دون الله 

অমুসলিমদের ইসলামে আকৃষ্ট হওয়ার অধিকারঃ

     কোন অমুসলিমও যদি মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ শোনার আগ্রহ নিয়ে মজলিসে হাজির হয় তাহলে সে সশ্রদ্ধ আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রাখে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, وان احد من المشركين استجارك فاجره حتي يسمع كلام الله -                        
উৎপাদনের স্বধীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অধিকার ঃ ইসলাম জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল মানুষ তথা প্রাণীকুলের খাদ্যের নিারপত্তা ও নিজের শ্রমের বিধানকে সর্বাধিক উত্তম আহার বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহাগ্রন্থের বাণী, 
 فاذا قضيت الصلاة فانتشروا في الارض وابتغوا من فضل الله-              
وما من دابة في الارض الا علي الله رزقها-                             

সুবিচার প্রাপ্তির অধিকারঃ

         মানবাধিকার যেমন সকল মানুষের অধিকার তেমনি এ অধিকার সকলের সমানভাবে প্রাপ্য। চুরি করলে জমিদার কন্যা শুধু ধমক খেয়ে ছাড়া পাবে। আর দরিদ্র চাষীর মেয়ের হাত কাটা যাবে, কয়েদী হবে। এমন অবস্থা মানবাধিকার পরিপন্থী। এ বিষয়ে কুরআনুল হাকীম এর ঘোষণা,
  وانزل معهم الكتاب والميزان ليقوم الناس بالقسط -                      
ولا يجرمنكم شنئان قوم علي الا تعدلوا اعدلو هو اقرب للتقوي -                                


প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষার অধিকারঃ

       ইসলাম সকল স্তরের মানব সমাজের ওপর জ্ঞানার্জন ও শিক্ষাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে মানবাধিকারকে সমুন্নত করেছে। পাশাপাশি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা ও প্রতিভা স্বাধীন ভাবে বিকাশ করার অধিকার দিয়েছে। রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন,
 يرفع الله الذين أمنوا منكم والذين اوتوا العلم درجات-                                
 واما بنعمة ربك فحدث-                                         
 ثم لتسئلن يومئذ عن النعيم-                                                              


শ্রমিকের অধিকারঃ

          ইসলাম শ্রমিকের অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সোচ্চার। শ্রমিক যেন তার যথাযথ প্রাপ্য যথাসময়ে পেয়ে যায় সে ব্যাপারে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বলেন, শ্রমিককে তার ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পাওনা বুঝিয়ে দাও। 


মৃত্যুর পরেও মানবাধিকারঃ

        কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার কাফনদাফন, অসিয়ত পূরণ ও ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে ইসলাম খুব গুরুত্ব দিয়েছে। আর মৃত্যু ব্যক্তি রেখে যাওয়া সম্পত্তি বণ্টনের পদ্ধতিও কুরআন ও হাদীসে স্পষ্ট। ইরশাদে ইলাহী
 ولكم نصف ما ترك وازاجكم ان لم يكن لهن ولد فان كان لهن ولد فلكم الربع مما تركنا من بعد وصية يوصين بها اودين -                                                           

মানবাধিকার করুণা নয় অপরিহার্যঃ

            মানবাধিকার সম্পর্কে সর্বশেষ কথা হচ্ছে এ যে, এগুলো কেউ কাউকে দান করে না। কারও কৃপা বা করুণার উপর এগুলো প্রাপ্তি নির্ভরশীল নয়। মানুষ মানুষ হিসাবে রয়েছে বলেই এসব অধিকার তার প্রাপ্য রয়েছে। মানুষের জীবন মৃত্যু যেমন মানুষ থেকে অবিচ্ছেদ্য, তেমনি এই অধিকারগুলো অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ্য। 
সুতরাং,আসুন যিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ করেন, মৃত্যু যমিনকে সবুজ সুন্দর ও জীবন্ত লিলাভূমিতে পরিণত করেন, মানুষের সুখ শান্তির যাবতীয় ব্যস্থাপনা যার হাতে তিনি মানব সমাজের সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণ মানবাধিকারে প্রদান করতে সক্ষম। আর মানবাধিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নারী অধিকার। শুধু বাহ্যিক ভাবে নয়, নারীর অধিকার নিয়ে গভীরভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখুন, ইসলাম নারীকে যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ তার বিন্দু মাত্র ও দেয় নি। বর্তমান যুগেও যদি সর্বকালের শ্রেষ্ঠমানব রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শের অনুসরণে আমাদের সার্বিক জীবন ব্যবস্থাকে সাজানো হয় তবেই সাফল্য সুনিশ্চিত।  

No comments:

Post a Comment

 

NameSilo Coupon Code "discount1$foryou"

like

like
like